কাতারের নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি আরবের

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কাতারের প্রস্তাব করা নিরাপত্তা চুক্তিতে কোনও আগ্রহ নেই সৌদি আরবের। শুক্রবার কাতারের আমির শেইখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে আরব দেশগুলোর জন্য একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের তাগাদা দেন।

gulf states

কাতারের আমির বলেছিলেন, আরব দেশগুলোর উচিত পারস্পারিক ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হওয়া যাতে এই অঞ্চলকে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে আনা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা যেন আরব দেশগুলোর ওপরে এ বিষয়ে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে।

জবাবে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) কথা উল্লেখ করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই একটি কাঠামোর ভেতর আছি। আমাদের প্রত্যাশা, কাতার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং সন্ত্রাসীদের সমর্থন করা বন্ধ করবে। তারা যদি তা করে, তাহলে তাদেরকে জিসিসির সদস্য হিসেবে স্বাগত জানানো হবে এবং আমাদের সবার নিরাপত্তার জন্য আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।’ ভিয়েনাতে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে আলোচনার এক ফাঁকে সৌদি আরবের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি।

গত সাত মাস ধরে কাতারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর। তাদের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার খেলায় ইরানকে সমর্থন করছে।

তবে সৌদি আরবের কাজেও অখুশি আরব অঞ্চলের অন্যান্য দেশ। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত একটি ভিন্ন ‘রাজনৈতিক ও সামরিক’ জোট গঠনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ওমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের এমন প্রচেষ্টা জিসিসিকে অকার্যকর করে ফেলবে। ওমান অন্য কারও সঙ্গে জোট বাঁধতে বাধ্য হবে।