সৌদি আরবে ৪ মাসে ৪৮ জনের শিরশ্ছেদ

সৌদি আরব ২০১৮ সালের প্রথম চার মাসেই ৪৮ জনের শিরশ্ছেদ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এদের অর্ধেকের বিরুদ্ধেই সহিংসতাজনিত অপরাধের অভিযোগ ছিল না—তাদেরকে মাদকসংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থাকে ‘চরম মাত্রার ন্যায়হীন’ হিসেবে সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ সৌদি আরবকে তার বিচারব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। গার্ডিয়ান লিখেছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। সেখানে হত্যা, ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি, জঙ্গিবাদ ও মাদক চোরাচালানের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

2de820291301521feafb90f94e4a7455_L

মানবাধিকার কর্মীরা বরাবরই ইসলামিক আইনে পরিচালিত সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। জবাবে সৌদি আরব বলেছে, ভবিষ্যতে একই অপরাধ সংগঠিত হওয়া বন্ধ করতে তারা মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেয়। মধ্যপ্রাচ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক সারাহ হোয়াইটসন বলেছেন, ‘সৌদি আরব যে এত এত মানুষকে মৃত্যদণ্ড দেয় তা খুব খারাপ। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই কোনও সহিংসতাপূর্ণ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সংখ্যা কমাতে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন, যাতে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়।’

এইচআরডব্লিউয়ের মতে, ২০১৪ সালের শুরু থেকে সৌদি আরব প্রায় ৬০০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে, যাদের এক তৃতীয়াংশের বেশি মাদকসংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিল। আর গত বছরে ১৫০ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নরহত্যা ছাড়া অন্যান্য কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন করা যায় কি না তা সৌদি আরব বিবেচনা করছে। তার ভাষ্য ছিল, ‘নতুন আইন প্রণয়নে আমরা সরকার ও সংসদের সমন্বয়ে দুই বছর ধরে কাজ করছি। এক বছর বা তার চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগবে কাজ শেষ করতে।’