পারমাণবিক চুক্তি বাতিল ইস্যুতে বিভিন্ন বিকল্প ভাবছে ইরান

 

ইরান ও ছয় পরাশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলে তেহরানও একই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়েদিনেজাদ। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়েদিনেজাদ

ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সেটার অর্থ হচ্ছে এর অস্তিত্ব আর থাকবে না। কারণ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ তা থেকে ক্ষমতার বলে বের হয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তির শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করছে।’

ইরানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন সে অনুযায়ী তারা সমঝোতা থেকে যদি বের হয়ে যায় তাহলে ইরানও আগের অবস্থায় ফিরে যেতে প্রস্তুত।’

বায়েদিনেজাদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করবে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি নতুন করে ভাবা হবে এবং আরও কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে যা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে ইরান যাই করুক না কেন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে না।’

পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম স্থগিত করতে রাজি হয়। বিনিময়ে তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামা ওই চুক্তিটি স্বাক্ষর করে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ থেকে ইরানকে বিরত রাখেন। কিন্তু ট্রাম্প বিশ্বাস করেন চুক্তিটিতে ধ্বংসাত্মক ত্রুটি রয়েছে।

আগামী ১২মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০১৫ সালে করা বিশ্ব শক্তির সঙ্গে চুক্তির আওতায় এসব নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প তার ইউরোপীয় মিত্রদেরও ওপর ইরান চুক্তি সংস্কার করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। ম্যাক্রোঁ ও ম্যার্কেল গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহারের হুমকি দিলেও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি চুক্তিটির পক্ষে অবস্থান নিতে একমত হয়েছে। সূত্র: পার্স টুডে।