‘জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরে শান্তি প্রতিষ্ঠা এক ধাপ এগিয়ে গেল’

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জন সুলিভান বলেছেন, ‘জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের মাধ্যমে জেরুজালেম তো বটেই বিশ্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এক কদম এগিয়ে গেল। সুলিভান ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভবপর সবেচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলিভান সেখানে তার প্রতিনিধিত্ব করেন।জন সুলিভান

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো প্রতিনিধি দলে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা সুলিভান তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন, তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায় ‘শান্তিপ্রতিষ্ঠায় রাখা চমৎকার অবদান।’ জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি মাইক পম্পেওর জন্য অনেক বড় বিষয় উল্লেখ করে সুলিভান জানিয়েছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তার প্রথম বিদেশ সফরে ইসরায়েলেই গিয়েছিলেন এবং জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনায় তিনি অত্যন্ত গর্বিত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে সুলিভান বলেছেন, ‘গত ডিসেম্বরেই প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেছিলেন যে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর—বাস্তবতার স্বীকৃতি। এটা এমন এক বাস্তবতা যা বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে। জেরুজালেম নিঃসন্দেহে ইসরায়েলের রাজধানী। এটি সেই স্থান যা একটি স্বাধীন জাতি দেশের সরকারের জন্য বেছে নিয়েছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ওই ভাষণে সুলিভান আরও বলেছেন, ‘আজ সেই দিন, যে দিনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পারস্পারিক সম্পর্কের একটি নতুন মাইলফলক স্থাপনে ও উজ্জ্বল আশার এক নতুন দিনের সূচনায় আজকের দিনটিই যথার্থ। জেরুজালেম দূতাবাস থেকে ইসরায়েল সরকার ও দেশটির জনগণের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সুযোগ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গর্বিত। দুই দেশের সম্পর্ককে ইস্পাতদৃঢ় রাখতে রাষ্ট্রপতি রিভলিন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছেন তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রেসিডেন্টের দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—আমরা আমাদের ঐক্যের প্রতি এবং যৌথভাবে আরও শান্তিপূর্ণ ও আরও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’