ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর এটাই তেলের সর্বোচ্চ দর। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই মূলত তেলের মূল্য বৃদ্ধির এই ঘটনা  ঘটেছে। তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যেই যোগান চাহিদার তুলনায় কম। তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে ইরানে উৎপাদিত তেলও আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারবে না।s1.reutersmedia.net

অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বিশাল পরিমাণে বাড়ায় এবং তেল রফতানি করা দেশগুলো যোগান কমিয়ে দেওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বাড়ছে তেলের দাম। আগামী গ্রীষ্মে এই চাহিদা আরও বাড়বে। তাছাড়া এশিয়াতে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা এখনই তুঙ্গে। অনেক ব্যাংক তেলের মূল্য ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।

রয়টার্স লিখেছে, একদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও অন্যদিকে যোগান কমে যাওয়ার এই আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তেল উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি কোনও প্রভাব রাখতে পারবে কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গোল্ডম্যান স্যাক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরান, ভেনিজুয়েলা ও অ্যাঙ্গোলা থেকে বিশ্ব বাজারে পাঠানো তেলের যোগান যদি কমে যায় তাহলে তার ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও পূরণ হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কায় ফ্রান্সের তেল কোম্পানি টোটাল ইরানের সঙ্গে কয়েকশ কোটি ডলারের গ্যাস চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে যদি সুরক্ষা পাওয়া না যায়, তাহলে তারা ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে না।