একজোট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করুন: আরব রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিন

জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করার প্রতিবাদে আরব দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে ফিলিস্তিন। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নিজ নিজ রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিতে আরব রাষ্ট্রগুলোকে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।  ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বৃহস্পতিবার বলেছেন, জোটবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠালে আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, জেরুজালেমে  ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তরকারী যে কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরব লীগ। রিয়াদ আল মালিকি

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল হয়ে যাওয়া পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের দেশের রাজধানী করতে চায় ফিলিস্তিনিরা।  কিন্তু ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকেই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী  হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রিয়াদ আল মালিকি সদস্য দেশগুলোকে জোটবদ্ধভাবে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে আরব লিগের দেশগুলো আগে একমত হয়েছিল। পূর্বের সম্মেলনে দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জেরুজালেমে তাদের ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তর করা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে আরব লিগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এবার ওয়াশিংটন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করতে আরব রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করছেন, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপনের প্রতিবাদ জানাতে সব আরব রাষ্ট্রগুলো যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে না।

রয়টার্স বলছে, মালিকি যে আবেদন করেছেন তাতে কতগুলো আরব দেশ শেষ পর্যন্ত সাড়া দেবে তা বলা মুশকিল। কারণ মিসর ও সৌদি আরবের মতো আরব লিগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলে। অবশ্য গত বুধবার (১৬ মে) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান তুরস্কে থাকা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলও সে দেশে নিযুক্ত তুরস্কের কনসাল জেনারেলকে ইসরায়েল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।