পরমাণু চুক্তি রক্ষায় ইউরোপকে ৩১ মে সময়সীমা বেঁধে দিলো ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তা রক্ষায় বিকল্প উপস্থাপন করতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইরান। ইরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার এখবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।

ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৈঠকের ফাইল ছবি

২০১৫ সালে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় পরাশক্তির স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী তেহরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। বিপরীতে ইরানে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। এই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এই অবস্থায় চুক্তিতে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলো তা রক্ষায় চেষ্টা করে যাচ্ছে। চুক্তি বহাল রেখে ইরানকে আর্থিক সুবিধা দিতে চায় দেশগুলো। তবে অনেক ইউরোপীয় কোম্পানি আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যপ্তি অনেক বেশি হওয়ায় তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

চুক্তির পক্ষে থাকা দেশ ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠক শুরুর আগে ইরানের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা খুব আশাবাদী না।

ইরানি কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আশা করছি মে মাসের শেষ দিকে প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এখনও কোনও প্ল্যান বি নেই।

এই কর্মকর্তা জানান, ইউরোপীয় পদক্ষেপে এটা নিশ্চিত করতে হবে তেল রফতানিকারকরা যেন তাদের কর্মকাণ্ড স্থগিত না করে এবং সুইফট-এর মাধ্যমে যেন ইরান লেনদেন করে যেতে পারে।

শুক্রবারের বৈঠক শেষে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা চলবে’। বৈঠকের আগে তিনি বলেছিলেন, পরমাণু সমঝোতায় থাকব নাকি বেরিয়ে যাব সে বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। একটি সদস্য এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সমঝোতার বাকি সদস্য দেশগুলো ইরানের ক্ষতি কীভাবে পুষিদের দেয় বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করছে।’ ইরানের শীর্ষ পরমাণু আলোচক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর ইউরোপ কীভাবে ইরানের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার গ্যারান্টি দেয় সেটাই এখন তেহরানের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।