নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বিস্ফোরণ: এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সোমবার সীমান্তে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নাশকতা করার সময় বিস্ফোরণে এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন ভিন্ন কথা। নিহতের বয়স ২৪ বছর। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় আরও একজন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। দখলাদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ‘গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ কর্মসূচী দমন করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১২৫ জনকে হত্যা করেছে।s3.reutersmedia.net

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, ৫ জন ফিলিস্তিনি ইরানি নিরাপত্তা বেষ্টনীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এতে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ওই ৫ জন ফিলিস্তিনির একজন নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, ‘নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নাশকতা চালাতে গিয়ে ৫ সন্ত্রাসী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে।’ বিস্ফোরণ কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিস্তারিত জানাননি। সীমান্তে হামলা ঠেকাতে এই বিস্ফোরণ তাদের গ্রহণ করা নতুন কোন ব্যবস্থা কি না সে বিষয়েও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের কাছে হারানো তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিরা গত ৩০ মার্চ থেকে ‘গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ কর্মসূচী পালন করে আসছে। এ সময় তারা ঘুড়িতে করে দাহ্য বস্তু উড়িয়ে নিয়ে ইসরায়েলি সীমানায় ফেলেছে, যাতে ইসরায়েলি ফসলের ক্ষেত ও গাছপালা বিনষ্ট হয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসরকারি নাগরিকদের ড্রোন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছে। তারা চায়, হামাসের পাঠানো দাহ্য বস্তুপূর্ণ ঘুড়িকে প্রতিরোধ করতে বেসামরিক নাগরিকরা যেন নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করে ।

রয়টার্স লিখেছে, গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করে। এরা বেশিরভাগই বর্তমানে ইসরায়েলের অবস্থান যে এলাকা জুড়ে সেই এলাকা থেকে বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বংশধর। দশকেরও বেশি সময় ধরে গাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হামাস। এই সময়ের মধ্যে সংগঠনটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে।