সিরিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে জর্ডান-রাশিয়ার বিবৃতি

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক বৈঠকে সিরিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের বিষয়ে একমত হয়েছেন। বুধবার মস্কোতে প্রকাশিত দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডিল ইস্ট মনিটর লিখেছে, সিরিয়ায় সহায়তা পাঠাতে জর্ডান তার সীমান্ত ব্যবহার করতে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে। বিবৃতির ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে সিরীয়দের নিরাপত্তাই প্রধান বিবেচ্য। দেশটিতে এখন কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে।sergey_lavrov_ayman_safadi_030518

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ায় যে বিপর্যয় হতে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, ‘একটি মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আমরা দক্ষিণ সিরিয়ায় অস্ত্র বিরতি কার্যকর করতে চাই।’

যেসব এলাকাকে সংঘাতমুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেসব এলাকায় স্থিতি বজায় রাখার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জর্ডান। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সিরিয়ায় শান্তি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তারা।

সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলার কারণে সীমান্তে চাপে পড়েছে জর্ডান। উদ্বাস্তু সিরীয়রা নিরাপত্তার জন্য পাড়ি জমাচ্ছে জর্ডানে। আগে থেকেই কয়েক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া দেশটি দাবি করছে আর শরণার্থী সামলানোর মতো সম্পদ নেই তাদের। গত মাসের শেষের দিকেই জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ইতোমধ্যে জর্ডানে ১৩ লাখ সিরীয় রয়েছে। আমাদের দেশ সামর্থের সবটুকু দিয়েছে। জর্ডান এদের দায়িত্ব নিয়েছে। আর আমি অবশ্যই বলব আমরা প্রায় একাই এই দায়িত্ব পালন করছি।’