ইরাকে আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত

শুক্রবার ইরাকের বসরা নগরীতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আধাসামরিক বাহিনী বদরের একজন সদস্য গুলি চালান, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বিক্ষোভকারী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতজ জানিয়েছে, এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর ও ইট ছুঁড়ছিল। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ঢিলে ঐ আধাসামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।1.6293447.407451164

বেকারত্ব ও  দুর্নীতির প্রতিবাদে ইরাকের বসরা প্রদেশে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বসরা তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল হলেও প্রদেশটির উন্নয়ন বসরাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানকার কল দিয়ে ময়লা পানি বের হয়। রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয় আবর্জনা। বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। এসবের পাশাপাশি বেকারত্ব ও দুর্নীতি তো রয়েছেই। বসরার পাশাপাশি বাগদাদেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। শুক্রবারের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে দিয়ে গত দুই সপ্তাহে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল চারে।

বসরাতে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে তাতে রাজনৈতিক দল ও সারকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। বসরা বহু বছর ধরে উপেক্ষিত। শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলটি প্রথমে সাদ্দাম হুসেনের শাসনামলে প্রত্যাশিত উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। আর এখন শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তারা বসরাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। শুক্রবার হওয়া বিক্ষোভ কর্মসূচীতে তিন হাজার ব্যক্তি যোগ দিয়েছিলেন।

ইরাকের প্রভাবশালী নেতা মুক্তাদা আল সদর বিক্ষোভকারীদের সমর্থন  দিয়ে বলেছেন,  যতদিন বিক্ষোভকারীদের দাবি পূরণ না হচ্ছে ততদিন জোট সরকার গঠনের চেষ্টা স্থগিত রাখা উচিত। অপর প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানিও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি বসরার জন্য গত ১৪ তারিখেই তিনশ কোটি ডলার বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন। বসরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা কারার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। তিনি কিন্তু বসরার ৪২ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী খালেদ হাসান মন্তব্য করেছেন, ‘যেসব প্রতিশ্রুতি তারা দেয়, তার সবই মিথ্যা। সুতরাং আমরাও চুপ করে বসে থাকব না।’