আইএসবিরোধী প্রবল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ২০ যোদ্ধা নিহত

শুক্রবার সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর অন্তত ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব সিরিয়ার একটি এলাকার দখল নিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ (এসডিএফ)। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডিল ইস্ট আই জানিয়েছে, আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া না গেলেও যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার মতে, ওই এলাকাতে জঙ্গি সংগঠনটির অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির থাকার কথা।SDF AFP

সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের যোদ্ধারা দেইর ইজ্জর প্রদেশের হাজিন শহরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটির একজন কমান্ডার ইব্রাহিম আল দেইরি মন্তব্য করেছেন, ইসলামিক স্টেটের প্রতিরক্ষা বুহ্য শক্তিশালী। এসডিএফের যোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। শুক্রবারের হামলা সম্পর্কে পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের’ মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘যোদ্ধারা ধূলিঝড়ের মধ্যে অগ্রসর হচ্ছিল। এসময় তারা আইএস যোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে।’

মিডিল ইস্ট মনিটর লিখেছে, আইএস একসময় দেইর ইজ্জরের দখলে ছিল। কিন্তু গত বছর এসডিএফ ও রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলার মুখে তারা পিছু হটতে হটতে ইউফ্রেটিস নদীর তীরে ইরাক সীমান্তে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সেখানে আনুমানিক তিন হাজার জঙ্গি আছে। সম্মুখ সমরের কমান্ডাররা ইরাকি হলেও সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি রয়েছে যারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করছে।
দেইর ইজ্জর মিলিটারি কাউন্সিলের প্রধান আহমাদ আবু খাওলা মনে করেন, আইএসের প্রধান আবুবকর আল বাগদাদির অবস্থান নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় অনেকেই সেখানে থেকে থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কামানের গোলা বর্ষণ করে এসডিএফ যোদ্ধাদের সহায়তা করছে।

গত মাসে রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম রোয়েবুক সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে উপস্থিত হয়ে আইএসবিরোধী যুদ্ধে মার্কিন সহায়তার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের সূত্রটি জানিয়েছে, আইএসের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলমান কুর্দিদের অভিযানটি শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। যুদ্ধে এর মধ্যে ৫৩ জন আইএস জঙ্গি ও ৩৭ জন এসডিএফ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে।