পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত সিরিয়ায় থাকবে হিজবুল্লাহ

সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত সিরিয়ায় তারা সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। তবে হিজবুল্লাহ নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিরিয়ায় যোদ্ধার সংখ্যা কমিয়ে আনা হতে পারে। ইদলিবে অভিযানের ইস্যুতে তুরস্ক-রাশিয়া চুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হিজবুল্লাহ নেতা সায়াদ হাসান নাসরাল্লাহ বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

Hizbullah-soldiers

বার্ষিক আশুরা উপলক্ষে লেবাননের বৈরুতে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে নাসরাল্লাহ বলেন, ইদলিবে চুক্তি হওয়ার পরও আমরা সিরিয়ায় থাকব। আমাদের সেখানে উপস্থিতি সিরিয়ায় প্রেসিডেন্টের অনুমতি সাপেক্ষে। ফ্রন্টের কাজ কমে যাওয়া এবং হুমকি কমে আসলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের যোদ্ধাদের উপস্থিতি কমে যাবে। পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সেখানে থাকব।

সিরিয়ার সাত বছরের গৃহযুদ্ধে শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আসাদকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছে। রাশিয়া, ইরান ও হিজবুল্লাহ’র সহযোগিতায় বিদ্রোহী ও আইএসের দখলকৃত অনেকাংশ ভূখণ্ড উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আসাদ সরকার।

সোমবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় তুরস্ক ও রাশিয়া। ইদলিব অঞ্চলে নতুন একটি অ-সামরিকীকৃত এলাকা ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে তারা। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার এ সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান। 

ইদলিব সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি। বিগত কয়েক মাসে সামরিক হামলা জোরালো করার মধ্য দিয়ে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে আসাদ বিদ্রোহীদের সরিয়ে দেওয়া হলে তারা ইদলিব প্রদেশে জড়ো হয়। ২০১৫ সাল থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে বিদ্রোহীরা। তবে দৃশ্যত ভয়াবহ বিমান হামলার মাধ্যমে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছে রাশিয়ার মিত্র আসাদ বাহিনী। ইরান ও রাশিয়া দুই দেশই পুরো সিরিয়ার ওপর আসাদ বাহিনীর কর্তৃত্ব দেখতে চায়। বিপরীতে আসাদ বাহিনীর হামলা থেকে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষার ওপর জোর দেয় তুরস্ক।

উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে তিন লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।