শত্রুকে ‘দাঁতভাঙা জবাবের’ প্রদর্শনী ইরানি মহড়ায়

শুক্রবার ইরানের সেনাবাহিনী ও রেভ্যুলেশনারি গার্ড পারস্য উপসাগরে এক যৌথ সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। ইরানি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মহড়ায় শত্রুপক্ষের পাওনা ‘দাঁত ভাঙা জবাবের’ প্রদর্শনী হয়েছে। ইরানি সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে জানিয়েছে, এই মহড়া ইরানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সপ্তাহের অংশ। ১৯৮০ সালে সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে ইরাকের সঙ্গে ইরানের যে যুদ্ধ হয়েছিল তার স্মরণে বার্ষিক মহড়ার আয়োজন করা হয়।s4.reutersmedia.net

মহড়ায় মিরেজ এফ-৪ এবং সুখোই-২২ জঙ্গি বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সিকে ইরানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ইউসুফ সাফিপুর বলেছেন, ‘শত্রু ও গোঁয়ার শক্তিগুলো যদি ইরানের সীমান্ত বা ইসলামি ইরানের ভূমির দিকে যদি চোখ তুলে তাকায়ও তাহলেও তারা মুহূর্তের মধ্যে দাঁতভাঙা জবাব পাবে। এই মহড়া শক্তির প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি শান্তির বার্তাও।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইরানের তেল রফতানি বন্ধ করতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইরানের অর্থনীতি। এর প্রতিক্রিয়ায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলো থেকে তেল রফতানি বাধাগ্রস্ত করতে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে ইরান। ওই অঞ্চলের তেলবাহী জাহাজকে নিরাপত্তা দিকে যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে নৌবহর মোতায়েন করে রেখেছে।

শনিবার ইরানের নৌবাহিনীর শনিবার মহড়া করার কথা রয়েছে। সেখানে ৬০০ সামরিক নৌযান অংশ গ্রহণ করবে। ইরানি বিমান বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির ভাহেদি বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে বর্তমানে এমন কোনও দেশ নেই যাদের আমাদের বিরুদ্ধে সংঘাতে যাওয়ার সক্ষমতা আছে। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা শক্তিশালী প্রতিরোধে সক্ষম।’ তিনি আরও বলেছেন, ইরানের সেনাবাহিনী ও রেভ্যুলেশনারি গার্ডের মধ্যে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা করছে শত্রুরা। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। দুই বাহিনীর মধ্যে যথাযথ সমন্বয় রয়েছে যাতে তারা দেশ ও জাতির নিরাপত্তা বিধানে কাজ করতে পারে।