আহেদ তামিমিকে রিয়াল মাদ্রিদের সম্মাননা

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের আইকনে পরিণত হওয়া আহেদ তামিমিকে শনিবার সাদরে গ্রহণ করেছে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব। সেখানে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা বাসিম তামিমি। তামিমিকে রিয়াল মাদ্রিদই তাদের ক্লাব সফর করার দাওয়াত দিয়েছিল।  মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। আহেদ তামিমিকে সাদরে বরণকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন দেশটির স্পেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।15382259338545-640x400

আমেদ তামিমি ইসরায়েল দখদারিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার একজন আন্দোলনকারী। গত বছর ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নবি সালেহ গ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে চড় মেরেছিলেন তিনি। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইসরায়েলের সেনা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা সবাই ক্ষুব্ধ হন। এর প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে জেলে যান তামিমি। ইসরায়েলি কারাগারে তাকে আট মাস বন্দি থাকতে হয়। কারগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যখন তার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সফরের কর্মসূচি নির্ধারিত হয়, তখন ইসরায়েল তার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞার বাধা কাটিয়ে তামিমি শুরু করেছেন ইউরোপ সফর। এই সফরে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবেন।

গত শনিবার তামিমি ও তার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাবিউ স্টেডিয়ামে। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার ও বর্তমানে ক্লাবটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের একজন এমিলিও বুত্রাগুয়েনেও। তিনি তামিমিকে তামিমির নাম লেখা একটি জার্সি উপহার দেন।

রিয়াল মাদ্রিদ যে আহেদ তামিমিকে সংবর্ধনা জানিয়েছে তাকে একটি ‘বিব্রতকর ঘটনা’ উল্লেখ করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইমানুয়েল নাসোন ক্লাবটির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক সন্ত্রাসীকে সংবর্ধনা জানিয়েছে যে সন্ত্রাস ও ঘৃণার পক্ষে কথা বলে। ফুটবলের মূল্যবোধের সঙ্গে তার কি কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে?’

স্পেনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কুটনার টুইটারে লিখেছেন, আহেদ তামিমি শান্তির জন্য কাজ করে না। সে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে সমর্থন করে। যেসব প্রতিষ্ঠান তাকে সাদরে গ্রহণ করে তারা আদতে পরোক্ষভাবে আগ্রাসনকে সমর্থন দিচ্ছে, সংলাপ ও সমঝোতার বদলে। আজ আমি বার্নাবিউ স্টেডিয়ামে যাব না।’