ইসরায়েল চালু করল ‘বর্ণবাদী সড়ক’

ইসরায়েল একটি সড়ক চালু করেছে যা দেয়াল দ্বারা বিভাজিত। এর একপাশ দিয়ে চলাচল করবে ইসরায়েলিরা। আর অন্য পাশ দিয়ে ফিলিস্তিনিরা। গত বুধবার (০৯ জানুয়ারি) এর উদ্বোধন করা হয়েছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে ‘প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের’ একজন সদস্ বলেছেন, এই রাস্তাটি ইসরায়েলি বর্ণবাদের উদাহরণ, যা একসময় দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যেত।Untitled-2-3

নতুন রাস্তাটির নাম ৪৭৩০। এর মধ্যখানে দেয়াল। সড়কটির দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটার। রাস্তাটির এক একভাগ উত্তর জেরুজালেমের ভেতর অবস্থিত জিভা বেনিয়ামিন বসতিতে যুক্ত। রাস্তার ওই ভাগ নির্ধারিত ইসরায়েলিদের জন্য। তবে জেরুজালেমে প্রবেশের অনুমতি আছে ফিলিস্তিনিদের রাস্তাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।

রাস্তার অপর অংশটি দিয়ে জেরুজালেমের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকের এলাকায় যাওয়া যায়। সেটা নির্ধারিত হয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। পার্থক্য এটাই যে, ফিলিস্তিনিদের জন্য রাখা রাস্তার অংশটি ব্যবহার করে জেরুজালেমে ঢোকা যায় না। পশ্চিম তীরে বিভক্ত রাস্তা আরও আছে। কিন্তু এই প্রথম কোনও রাস্তার মধ্যখানে দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর রেখে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের ‘সহবস্থান’ নিশ্চিত করতে সক্ষম। তাছাড়া, রাস্তাটি উত্তর জেরুজালেমে ঢোকার মুখে হিজমা চেকপয়েন্টের যানজট কমাতে ভূমিকা রাখবে এবং বেনিয়ামিন বসতির সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে।

এমন রাস্তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি’ ও ‘প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (পিএলও)। পিএলওর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আহমাদ মাজদালানি মন্তব্য করেছেন, ‘এটি ইসরায়েলি সংস্করণের বর্ণবাদ। এমন আচরণ একসময় দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যেত। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব ইসরায়েলির এই নতুন রাস্তার বিষয়ে লজ্জ্বিত হওয়া উচিত।’

রাস্তাটির জন্য সৃষ্ট নতুন চৌকি কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল মতভিন্নতা। দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ উভয়ই চৌকি নিজেদের হাতে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের বর্ডার পুলিশ রাস্তাটির নিরাপত্তায় থাকা চৌকির দায়িত্ব পেয়েছে।