সামাজিক নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে সামাজিক নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে প্রায় এক শ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। টানা বিক্ষোভের ফলে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকার চাপের মধ্যে রয়েছে। সরকারি ডিক্রিতে পাস হওয়া ওই আইনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানই পশ্চিমতীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অবসর সুবিধার দেখভাল করবে।

west bank

বুধবার প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেও রামাল্লায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা এই আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ করছেন। আইনটি বাতিলের প্রতিবাদে ছোট আকারের বিক্ষোভ হয়েছে নাবলুস, হেবরন ও বেথলেহেম ও জেনিন শহরে।

এই আইনের প্রতিবাদ করতে গড়ে তোলা হয়েছ ন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি মুভমেন্ট। এই সংগঠনের মুখপাত্র আমের হামদান বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যার চেয়ে সমর্থনকারীদের সংখ্যাই বেশি। তারা দাবি করছে সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল যেকোনও স্থানে জাতীয় দাবি। কিন্তু এখানে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রয়োজনের তালিকার সবার নিচে রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা।

অনেক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এই উদ্যোগকে পক্ষপাতমূলক উল্লেখ করে বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট ইয়ামেন বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার ধারণা খুব একটা খারাপ না। কিন্তু যেভাবে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। যেসব আইন জনগণের জীবনকে প্রভাবিত করে সেগুলো সম্পর্কে যাতে সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকে তা অত্যন্ত জরুরি। ফিলিস্তিনিরা হয়ত আদর্শগত জায়গা থেকে এধরনের সামাজিক পদক্ষেপে রাজি থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে। কিন্তু এটা জানার গণতান্ত্রিক উপায় হলো ভোট।