আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আইএস জঙ্গিদের বিচার চায় সিরীয় কুর্দিরা

উত্তর সিরিয়ার কুর্দির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কয়েক হাজার সন্দেহভাজন সদস্যের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আদালত গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। গত সপ্তাহে আইএস নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ সিরীয় ছিটমহল কুর্দিরা দখল করে নিলে জঙ্গি গোষ্ঠীটির সহস্রাধিক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

_106180767_053157059 (1)

কুর্দি কর্মকর্তা আব্দুল করিম ওমর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, বাঘুজ ছিটমহল আটক করা কয়েক হাজার আইএস সদস্যদের নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।

আইএস খিলাফতে চূড়ান্ত সময়ে সিরিয়া ও ইরাকে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। গত সপ্তাহে কুর্দিরা বাঘুজ দখল করার পর যুক্তরাষ্ট্র আইএসের পতন হয়েছে বলে ঘোষনা দেয়। আইএসের নিয়ন্ত্রণে ভূখণ্ড না থাকলে মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, অঞ্চলটিতে জঙ্গি গোষ্ঠীটির ১৫ থেকে ২০ হাজার সদস্য আত্মগোপনে রয়েছে এবং পুনর্গঠিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

এক বিবৃতিতে কুর্দি প্রশাসন আহ্বান জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গড়ে তুলতে যা জঙ্গিদের বিচার করবে। এতে করে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার চার্টার নিশ্চিত ও নিরপেক্ষ বিচার হবে।

আব্দুল করিম ওমর জানান, ঘটনা হলো আইএসে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট দেশ ফেরত নিতে চায় না। ফলে আটক আইএস যোদ্ধারা কুর্দিদের বোঝায় পরিণত হয়েছে।

সিরিয়া বিষয়ক মার্কিন দূত জেমস জেফরি আন্তর্জাতিক আদালতে আইএস সদস্যদের বিচারের বিষয়ে বলেন, আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না।

অতীতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৯০ দশকের বলকান সংঘাতের যুদ্ধাপরাধ ও ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডার গণহত্যায় গঠিত ট্রাইব্যুনাল।

তবে আন্তঃদেশীয় বিচার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জুয়েল হুব্রেখ জানান, সিরিয়ায় এমন আদালত গড়ে তোলার কোনও বাস্তবতা নেই। সিরিয়ার কুর্দিরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।