মিসরে পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাচীন বন্দরের খোঁজ

নীল নদের তীরে একটি প্রাচীন বন্দরের খোঁজ পেয়েছে মিসর। এই বন্দর মন্দির ও স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের জন্য বড় বড় পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত হতো। দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, স্থানটি নীল নদের পশ্চিম তীরে প্রায় একশ মিটার স্থানজুড়ে অবস্থিত ছিল।http _cdn.cnn.com_cnnnext_dam_assets_190326165336-egypt-ancient-port
সাম্প্রতিক সময়ে মিসরে বেশ কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মমি রাখার জায়গা ও বেড়ালের কবরস্থান। সন্ধান পাওয়া মমিগুলোর একটি একজন নারীর। সংশ্লিষ্টরা একে তিন হাজার বছর পুরাতন বলে অনুমান করছেন। নতুন পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন এই প্রাচীন বন্দর। মিসর আশা করছে, প্রত্নতাত্ত্বিক এসব স্থানগুলো দেশটিতে পর্যটক সমাগম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
মিসরের সংশ্লিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিকরা খননকাজ পরিচালনা করছিলেন আসওয়ানের কমওমবো নামের পুরাতাত্ত্বিক স্থানে। সেখানে কাজ চালাতে গিয়েই খোঁজ পাওয়া যায় প্রাচীন বন্দরটির। এই বন্দর দিয়ে যেসব বড় বড় পাথর পরিবহন করা হতো সেগুলো নেওয়া হতো জেবেল আল সিলসিলাতে অবস্থিত কোয়ারি থেকে। বন্দরটি সেখান থেকে ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত।
মিসরের ‘সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিক্যুইটির’ সেক্রেটারি জেনারেল মুস্তাফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন, বন্দরের স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে। ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেই সময়কার লেখা এবং নৌকা বেঁধে রাখার কৌশল।
জেবেল আল সিলসিলা মিসরের বেলেপাথরের অনেক বড় একটি উৎস। ‘আসওয়ান অ্যান্ড নুবিয়া অ্যান্টিক্যুইটিস কাউন্সিলের’ ডিরেক্টর জেনারেল আব্দুল মুনিম বলেছেন, বন্দরটি ১৮ শতক থেকে শুরু করে আধুনিককাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হচ্ছে।