সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে ইরান: তুরস্ককে জারিফ

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলুর সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তেহরানের এই অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।

000_1IV58T-e1563396134738-640x400

সোমবার সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন,সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। তুরস্কের অভিযান চালানোর ঘোষণার পর ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান মিত্ররাও।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের অভিযান ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়াকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটি সমর্থিত সিরিয়ায় সক্রিয় থাকা কুর্দি বাহিনী।  সোমবার কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) এর মুখপাত্র বলেন, ‍যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো যে তুরস্ককে তারা প্রবেশ করতে দেবে না।’

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে জাভেদ জারিফকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফোনালাপে জারিফ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, আদানা চুক্তিই হলো সিরিয়া ও তুরস্কের বিরোধ সমাধানের সবচেয়ে উপযুক্ত উপায়।

১৯৯৮ সালে সিরিয়া ও তুরস্ক এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ জানানোর পর চাভুসোগলু জানান, সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান সাময়িক।