সিরীয় কুর্দি ও তুরস্কের মধ্যে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ইরান

সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর মধ্যস্থতার প্রস্তাত দিয়েছে ইরান। শনিবার তেহরান জানিয়েছে, কুর্দি, সিরীয় সরকার ও তুরস্কের মধ্যে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ইরান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

download

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ২১ বছর পূর্বে সিরিয়া ও তুরস্কের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির কথা তুলে ধরেন। ওই চুক্তিতে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধাদের সিরীয় ভূখণ্ডে অবস্থান করতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। তুরস্কের দাবি, ওই চুক্তিটি কখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

জাভেদ জারিফ বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যকার আদানা চুক্তি এখনও বিরাজ করছে। এটাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো পথ হতে পারে। সিরীয় কুদি, সিরীয় সরকার ও তুরস্ককে আলোচনায় বসাতে সহযোগিতা করতে পারেন ইরান। যাতে করে সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুরস্কও সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করতে পারে।

সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান শুরু হওয়ার চতুর্থ দিনে ইরান এই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলো। তুরস্ক পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। আর সিরীয় কুর্দিদের এসডিএফ-কে পিকেকের শাখা বলে দাবি করে আসছে তুর্কিরা।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ১৯৯৮ সালের আদানা চুক্তি বাস্তবায়িত হতো যদি সিরিয়ায় আট বছরের গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধান অর্জিত হতো। আদানা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। যা আসাদ সরকারের নেই।

সিরিয়া দাবি করে আসছে, তারা আদানা চুক্তি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।