সৌদি আরবে উপসাগরীয় সম্মেলনে যোগ দেননি কাতারের আমির

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শুরু হয়েছে ৪০তম উপসাগরীয় সম্মেলন। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনে অংশ নেননি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার পরিবর্তে দেশটির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, রিয়াদ বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।

কাতারের আমির

কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র খবরে বলা হয়েছে, আমির রিয়াদে না যাওয়ায় কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২০১৭ সালের জুনে উপসাগরীয় দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে দেশটির ওপর স্থল, নৌ ও আকাশ পথে অবরোধ আরোপ করে দেশগুলো। তবে কাতার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়।

সম্প্রতি রিয়াদে অনুষ্ঠিত উপসাগরীয় সম্মেলনে দোহা যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলে ৩০ মাস ধরে চলা ওই নিষেধাজ্ঞা অবসানের ইঙ্গিত জোরালো হয়। তবে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ওই সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় সেই সম্ভাবনা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত উপসাগরীয় সম্মেলনে যোগ দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ওই সম্মেলনে রিয়াদ ও তার মিত্ররা অপেক্ষাকৃত কম পদমর্যাদারা প্রতিনিধি পাঠায়। এর আগে এই বছরের মে মাসে সৌদি আরবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় দুই বছরের অবরোধের মধ্যে এটিই ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা।

গত সপ্তাহে রোমে এক সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উপসাগরীয় সংকট অচলাবস্থা থেকে অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে’। তিনি রিয়াদ ও দোহার মধ্যে আলোচনা চলার কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। অনেক বিশ্লেষকই আশা প্রকাশ করেছিলেন, রিয়াদে উপসাগরীয় সম্মেলনে কাতারের যোগ দেওয়ার মাধ্যমে একটি পুনর্মিলনের পথ খুলতে পারে।

কাতারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাজেদ আল আনসারি বলেন, সংকট সমাধানে তিনটি মূল ফ্যাক্টরের সমাধান হতে হবে। বিশ্বাস, মুখ রক্ষা করে পিছু হটার উপায় বের করা এবং কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মিলনে রিয়াদের উদ্যোগে অবরোধ আরোপকারী অন্য দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তার উপর নির্ভর করছে।