সৌদি আরবে বন্দি ফিলিস্তিনি ও জর্ডানিদের মুক্তির আহ্বান

সৌদি আরবের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনি ও জর্ডানিদের মুক্তি চেয়ে দেশটির সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। করোনাভাইরাসের প্রকোপজনিত হুমকির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তারা এই আবেদন জানিয়েছেন।

8

বেশ কয়েকটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মিডল ইস্ট আই জানায়, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে সৗদি আরবের চারটি কারাগারে কমপক্ষে ৬৮ জন ফিলিস্তিনি ও জর্ডানি নাগরিককে বন্দি রাখা হয়েছে।
আটককৃতদের কারও কারও বয়স ৮০ এর কোটায়।
পরিবারের সদস্যরা মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, আটককৃতদের আইনজীবীর সহায়তা নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ফোনে কথা বলার সুবিধাও সীমিত করে দিয়েছে।
মোহাম্মদ আল আক্কাদ নামে এক স্বজন মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমরা উদ্বেগে আছি। কোনও একটা ট্র্যাজেডি ঘটার আগে সৌদি কর্তৃপক্ষের উচিত তাদেরকে মুক্তি দেওয়া।
উম কুসাই আল হাদ্দাদ নামের আরেক ব্যক্তি জানান, তার বাবা ৬৭ বছর বয়সী সুলাইমান ও দুই ভাইকে (৪০ বছর বয়সী ইয়াহিয়া ও ৩৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ) ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরবে কারাবন্দি। পরিবারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সীমিত। নিজের বাবা ও ভাইদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন উম কুসাই।
আটককৃতদের একজন হলেন ৮২ বছর বয়সী মুহাম্মদ আল খুদারি। প্রায় দুই দশক ধরে সৗদি আরবের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক ধরে রেখেছিলেন তিনি। খুদারির ভাই আব্দুল মাজেদ মিডল ইস্ট আই এর কাছে অভিযোগ করেন, কারাগারের পরিস্থিতি খুব নাজুক। তার ক্যানসার আক্রান্ত ভাইয়ের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সৌদি সরকারের স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মাজেদের দাবি, ১০ বছর আগে তার ভাই অবসরে যান এবং হামাসের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। সৌদি গোয়েন্দারা তাকে জেদ্দাতে সংগঠনটির কার্যালয় খোলারও অনুমতি দিয়েছিল।
হামাসের বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠাতা ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী দীর্ঘদিন ধরেই সৗদি আরবে বাস করে আসছিলেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর হামাসের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে। ২০১৭ সালের মে মাসে রিয়াদে এক আরব-আমেরিকান সম্মেলনে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেন ট্রাম্প।