করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ব্যবহার করবে জর্ডান

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের (আশঙ্কাজনক অবস্থায় যারা আছেন) চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হাইড্রোক্সিক্লোরোকুয়িন ব্যবহারের জন্য চিকিৎসকদের অনুমতি দিয়েছে জর্ডানের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দফতর (এফডিএ)। একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সঙ্গে এ প্রতিষেধক ব্যবহার করতে পারবেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

12

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় কয়েক দশক ধরে বিশ্বজুড়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুয়িন ব্যবহার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক ফরাসি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় একটি অ্যান্টিবায়োটিক মেকানিজমের সঙ্গে গ্রহণ করা হলে তা কাজে লাগতে পারে।

রবিবার (২২ মার্চ) জর্ডানের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দফতরের প্রধান হায়েল ওবেইদাত আল জাজিরাকে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান করোনার চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুয়িন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হওয়া আন্তর্জাতিক গবেষণাগুলোকে উদ্ধৃত করে এ সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

আল জাজিরাকে হায়েল ওবেইদাত বলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুয়িন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার অংশ হিসেবে অন্য অ্যান্টিভাইরাল উপাদানের সঙ্গেই শুধু হাইড্রোক্সিক্লোরোকুয়িন ব্যবহার করা উচিত। এটি কোনও প্রতিরোধ পদ্ধতি নয়।’

বেইদাত আরও জানান, শুধু যেসব রোগী স্টেজ টুতে আছেন এবং যারা গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এ প্রতিষেধক ব্যবহার করা হবে। যাদের সত্যিকার অর্থে এ ওষুধ প্রয়োজন তাদের জন্য তা নিশ্চিত করতে ফার্মেসিতে এ প্রতিষেধক বিক্রিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জর্ডান।

জর্ডানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবিবার (২২ মার্চ) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন, সে দেশে নতুন করে আরও ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২-তে। রাজধানী আম্মান ও ডেড সি এলাকার হোটেলগুলোতে এখনও সরকারি কোয়ারেন্টিনের আওতাধীন রয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা এবং শনিবার (২১ মার্চ) সাধারণ কারফিউ ঘোষণা করেছে জর্ডান সরকার।