যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত, আইসিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

প্রসিকিউটর ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে বৈরিতা জোরালো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা ও ইসরায়েল কর্তৃক সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তে জড়িতদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। যাতে করে তদন্তে তাদের অংশগ্রহণ ঠেকানো যায়। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।

e976b18780cb4f95b22d9a17eac63b58 (1)
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করছে নেদারল্যান্ডসের হগ-ভিত্তিক আইসিসি। পাশাপাশি ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধসহ যুদ্ধাপরাধের একটি তদন্তও শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প স্বাক্ষরিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এই দুই দেশে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আইসিসির কর্মী ও তাদের সাহায্য করা ব্যক্তি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া দেশটির কোনও নাগরিকের বিচারে সহযোগিতাকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এছাড়া এসব কর্মী ও তাদের নিকটাত্মীয়রা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করতে পারবেন না।

আইসিসি যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের ‘সর্বশেষ নজির’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের শামিল ও এটি অগ্রহণযোগ্য একটি প্রচেষ্টা।’

দীর্ঘ আইনগত প্রক্রিয়া চালানোর পর গত মার্চে আইসিসি জানায়, আফগান যুদ্ধাপরাধ তদন্তের কাজ এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আফগানিস্তানে মার্কিন নৃশংসতার ব্যাপারে তদন্তের সম্ভাবনা প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। আইসিসি বলেছে, ‘গণহত্যায় জড়িতদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এ অগ্রহণযোগ্য নিষেধাজ্ঞা আমাদের স্বাভাবিক প্রচেষ্টার বিরোধিতার শামিল।’

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আইসিসিকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের হুমকি মেনে নিতে পারি না। আমাদের মিত্রসহ যারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে, তাদের জানাতে চাই যে, আপনাদের লোকেরাও আইসিসির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।’