সৌদি আরবে হজে মুসল্লিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করেছেন। শুক্রবার সাদা আলখেল্লা গায়ে মাস্ক পরে নারী ও পুরুষেরা বিশাল দেয়ালে পাথর নিক্ষেপ করেন। এসময় স্বাস্থ্যকর্মীরা নজরদারিতে ছিলেন। মুসল্লিরা হলুদ রঙের দাগে অবস্থান করে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাসে এবারই সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বার্ষিক হজ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বজায়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। হাজিরা নিরাপদ দূরত্ব ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মানছে কিনা তাতে সতর্ক দৃষ্টি নিরাত্তাকর্মীদের।
হজের অন্যতম বিধান হলো, শয়তানের প্রতীকী ৩টি স্তম্ভে কংকর নিক্ষেপ করা। মাথার চুল মুণ্ডন অথবা কাটার পূর্বে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়, এটি ১০ জিলহজের দিনের ওয়াজিব আমল।
অতীতে হজে অংশ নেওয়া লাখো মুসল্লি একেকজন আরেকজনের কাঁধ ঘেষাঘেষি করে পাথর নিক্ষেপ করতেন। পাথর নিক্ষেপের সময় অতীতে বেশ কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৫ সালে এক দুর্ঘটনায় কয়েকশ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছিল।
মক্কায় গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার আগে মুসল্লিরা আগামী দুই দিন আরও পাথর নিক্ষেপ করবেন।
গত বছর হজে বিশ্বের প্রায় ৩০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সম্ভব ছিল না। ফলে দেশটিতে অবস্থানরত সৌদি ও বিদেশি মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক মানুষ এবারের হজে অংশগ্রহণ করছেন। সরকারিভাবে এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে জুনে সৌদি হজমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার হজে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা হবে ১ হাজার।
বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হজে কোনও মুসল্লি করোনায় আক্রান্ত হননি বা বড় কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েননি।