বৈরুতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫, গৃহবন্দি বন্দর কর্মকর্তারা

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনের। বুধবার লেবানন সরকার জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের জন্য বন্দর কর্মকর্তাদের গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_113824641_mediaitem113824640

নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান। আল-মানার টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫ হাজার এবং নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। আহতরা রাজধানীর ভেতরে ও বাইরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন জানিয়েছে, বিস্ফোরণের নেপথ্যে বন্দরের গুদামে অনিরাপদভাবে রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামুনিয়াম নাইট্রেট।

বন্দরের কাস্টম প্রধান বাদ্রি দাহের জানিয়েছেন, তিনি এই রাসায়নিক পদার্থ সরিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তা সরানো হয়নি। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে কারণ নিশ্চিত হওয়ার দায়িত্ব বিশেষজ্ঞদের হাতে ছেড়ে দিন।

অ্যামুনিয়াম নাইট্রেট কৃষিতে সার এবং বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গত রাতের ভয়াবহতা কথায় প্রকাশ সম্ভব নয়। যা পুরো শহরকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।

কর্তৃপক্ষ বৈরুতকে দুর্যোগপূর্ণ শহর ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ নাজদ।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের জন্য বৈরুতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হতে পারে।