মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ‘যে কোনও উদ্যোগকে’ স্বাগত জানান জাতিসংঘ মহাসচিব: মুখপাত্র

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে যে কোনও উদ্যোগকে স্বাগত জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক মুখপাত্র একথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় এই একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।

139750-mrfxpxmesh-1597314276

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন,  ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এই লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে।


 

এ সম্পর্কিত আরও খবর:  ইসরায়েল ও আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি স্বাক্ষর


 

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি ইসরায়েলকে একটি ঐতিহাসিক দিন উপহার দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। তিনি আরও বলেছেন, উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।