ইরানে হামলার ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই: তেহরান

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা যাচাই করা হচ্ছে বলে দেওয়া ইসরায়েলের হুমকিকে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছে তেহরান। বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ বলেছেন, কার্যত তাদের (ইসরায়েলের) সেই পরিকল্পনা নেই, আবার তা বাস্তবায়নের ক্ষমতাও নেই।’ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল স্টাডিজে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোহাবি ইরানে হামলার পরিকল্পনা জোরদার করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আমি ইরানের হামলার ব্যাপারে বিদ্যমান পরিকল্পনার পাশাপাশি বাড়তি অনেক অভিযান পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়নের বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলেও এসব পরিকল্পনা তৈরি থাকা প্রয়োজন।’

ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি বলেন, পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের মতো বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলের কমান্ড মেনে চলবে না। তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী রাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা মনে করছেন তারা যা বলবে ওয়াশিংটন তা-ই মেনে নেবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন নতুন মার্কিন প্রশাসনের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে, যেমনটা অন্য দেশগুলোরও আছে।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ইরানের কর্মকর্তা ভায়েজি সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জামাই জারেড কুশনারকে নিয়োগ দেন, তিনি ইসরায়েলকে তোষণ করেন আর তাদের ইচ্ছা ওয়াশিংটনে বাস্তবায়ন করেন। এই ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ছাড়াও এ অঞ্চলের সৌদি আরবের মতো কিছু দেশ ইরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে লবিং করার চেষ্টা করছে। ‘তবে আমরা এটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি না’, বলেন তিনি।

ইরানের কর্মকর্তা ভায়েজি বলেন, জানুয়ারিতে তার দেশ ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন এবং ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এগুলোর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের দেশ রক্ষায় আমরা খুবই হুঁশিয়ার।’