‘১৬ কোটি ক্ষুধার্ত, দুর্ভিক্ষের মুখে ৫০ লাখ ইয়েমেনি’

জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্ক লোকক সতর্ক করে বলেছেন, ইয়েমেনের অর্ধেকের বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত এবং এদের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

সোমবার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল দাতা সম্মেলনে ইয়েমেনে ত্রাণ সহযোগিতার জন্য ৩.৮৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রত্যাশা করছে জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান বলছেন, এটি মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। এমন দুর্ভিক্ষ কয়েক দশকে বিশ্ব দেখেনি।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনের যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধকে সৌদি আরব ও ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ৮০ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪ লাখ শিশু অপুষ্ঠিতে ভুগছে। যুদ্ধরত পক্ষের বাধা দানের ফলে দেশটির খাদ্য আমদানি চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

ত্রাণ সংস্থার প্রধান লোকক বলেন, যুদ্ধের আগে ইয়েমেন অপুষ্ঠি সংকট নিয়ে একটি দরিদ্র দেশ ছিল। কিন্তু তাদের ছিল কার্যকর অর্থনীতি, অনেক জনগণকে সেবা দেওয়ার মতো সরকার, জাতীয় অবকাঠামো ও রফতানির ভিত্তি। যুদ্ধ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

লোকক আরও বলেন, আধুনিক বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলো মূলত জনগণের কোনও উপার্জন না থাকা এবং তাদের সহযোগিতা অন্যদের দ্বারা আটকে দেওয়া। বাস্তবে এমনটিই ঘটছে ইয়েমেনে।

ইয়েমেনের সরকারকে উৎখাত করে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ক্ষমতা দখল করার পর ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে। হুথিদের দাবি, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কিন্তু করোনা মহামারিতে জনগণের আর্থিক অবস্থা ও মুদ্রার মানের আরও অবনতি হয়েছে।