ইরানের সিদ্ধান্তে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র

পরমাণু সমঝোতা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা প্রত্যাখ্যানের ইরানের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে অর্থবহ কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরপরই নিজেদের এমন হতাশার কথা জানায় ওয়াশিংটন।

রবিবার খাতিবজাদেহ জানান, পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপ সম্প্রতি যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে তার জন্য বর্তমান সময়কে উপযুক্ত মনে করছে না তেহরান। এই সমঝোতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তিন ইউরোপীয় দেশের সাম্প্রতিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে ইরান আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

খাতিবজাদেহর বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মাথায় এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানান হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হলেও একইসঙ্গে উভয় পক্ষের এই সমঝোতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করছি।’

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরমাণু সমঝোতার বাকি পাঁচ দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করবে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ওয়াশিংটন পরমাণু সমঝোতায় ফেরার সময় ইরানকেও তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ফিরতে হবে। তবে তেহরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরান এতে দেওয়া নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিমাণ কমাতে শুরু করেছে। কাজেই মার্কিন প্রশাসনকে আগে এই সমঝোতায় ফিরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সুফল বাস্তবে পাওয়ার পর ইরান এই সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফিরে যাবে। সূত্র: পার্স টুডে।