ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক গোলযোগ

অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ পাওয়ার এক দিনের মাথায় ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। রবিবার এই ঘটনা ঘটে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এখবর জানিয়েছে।

শনিবারনাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৬৪ আইআর-৬ সেন্ট্রিফিউজ-এর বাক্সগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই পদার্থ ও ইউরেনিয়ামের সংযোগে যেমন বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তেমনি পারমাণবিক অস্ত্রও বানানো যায়।

রবিবার ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি জানান, পারমাণবিক স্থাপনার শহীদ আহমাদি রৌশান কমপ্লেক্সের একাংশের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এর ফলে কোনও ক্ষতি হয়নি এবং কেউ হতাহতও হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক স্থাপনার এই ঘটনার সঙ্গে নাশকতার কোনও সম্পর্ক এখন পর্যন্ত খোঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

এর আগে গত বছর জুলাই মাসে ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এ পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালিয়েছিল দুষ্কৃতকারীরা। এর ফলে ওই স্থাপনার একটি শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইরান ওই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে এর আগে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। সেটির শর্ত মতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকে দেশটি। বিপরীতে তেহরানের ওপর থেকে বেশ কিছু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো। কিন্তু ২০১৮ সালে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ এনে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায় ওয়াশিংটন।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনায় সরব হয় ইরান। তবে গতবছর মার্কিন মসনদ জো বাইডেনের দখলের যাওয়ায় ফের চুক্তিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের শামিল হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার ইরানের এমন পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনায় আপাতত সংশয়ী বিশ্লেষকরা।