আইএসের হাতে খুন হওয়া নারী সাংবাদিক রোকেয়া

সশস্ত্র সুন্নিপন্থী সংগঠন আইএসের হাতে নিহত হয়েছেন রোকেয়া হাসান নামের এক নারী সাংবাদিক। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে আইএসের হাতে খুন হন ৩০ বছরের ওই নারী। তার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় আইএসের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর পক্ষ হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছিল।

আইএসের কথিত রাজধানী সিরিয়ার রাকা শহরে সিটিজেন জার্নালিজমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন রোকেয়া। শহরটির প্রাত্যহিক অবস্থা নিয়ে ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট দিতেন তিনি।

noname

সেপ্টেম্বরে খুন হলেও চলতি সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিসান ইব্রাহিম ছদ্মনামে লিখতেন রোকেয়া। এসব লেখায় তিনি সিরিয়ায় আইএসের শক্ত ঘাঁটি রাকা’র বাসিন্দাদের অবস্থা তুলে ধরতেন।

ফেসবুক পোস্টের কারণেই হত্যাকাণ্ডের কথা বলা হলেও শেষদিকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টিটি ব্যবহার করতো জঙ্গিরা। ওই অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করে এর মাধ্যমে রোকেয়ার সঙ্গে ইতোপূর্বে যোগাযোগ হওয়া অন্যদেরও ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে আইএস।

টুইট বার্তায় ফেসবুকে দেওয়া রোকেয়ার কিছু পোস্ট তুলে ধরেছে ‘রাকা ইজ বিয়িং স্লাফটারড সাইলেন্টলি’ (আরবিএসএস) নামের একটি আইএসবিরোধী সংগঠন।

রোকেয়া হাসান বলেছিলেন, ‘আমি রাকায় আছি এবং ক্রমাগত মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছি। আইএস আমাকে গ্রেফতার ও খুন করলেও সমস্যা নেই, কারণ তারা আমার শিরশ্ছেদ করবে। তাদের বিকৃত অত্যাচার সহ্য করে বেঁচে থাকার চাইতে সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ আমি পছন্দ করব।’

আলেপ্পো ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছেন রোকেয়া হাসান। এক পর্যায়ে সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এক সময়ে রোকেয়ার নিজ শহরে প্রবেশ করে আইএস। তবে অন্য অনেকের মতো জঙ্গিদের ভয়ে শহর ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান রোকেয়া হাসান। সূত্র: গার্ডিয়ান, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

/এমপি/বিএ/