বাইডেনের ফোনের পর বেপরোয়া ইসরায়েল, আরও ২৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে দখলদার বাহিনী। ওই ফোন কলে দৃশ্যত গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতি সমর্থন জানান বাইডেন। দখলদার বাহিনীর তাণ্ডবকে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। একইসঙ্গে রকেট হামলা থামাতে ফিলিস্তিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওই ফোন কলের পরই গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু। এরপর রবিবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী।

গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় অন্তত ১৮১ ফিলিস্তিনিকে। সন্তানসম্ভবা নারী, শিশু এবং সাধারণ মানুষও বাদ যায়নি তাদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ থেকে।

বিমান থেকে একের পর বোমা নিক্ষেপ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। বোমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুলিশের বিভিন্ন ভবন। এমনকি আবাসিক ভবনেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।

রবিবার টানা সপ্তম দিনের মতো গাজার ওপর হামলে পড়ে দখলদার বাহিনী। উপত্যকায় সাম্প্রতিক তাণ্ডব শুরুর পর এদিনই সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ইসরায়েল। বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় দুইটি আবাসিক ভবন। হত্যা করা হয় অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনিকে। আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন মানুষ।

শনিবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে হামাসের ড্রোন হামলা থামানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পরদিনই রবিবার গাজায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ার-এর বাড়িতে বিমান হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৮১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে ৫২ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস-ও সাধ্যমতো রকেট হামলা চালিয়ে দখলদার বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে। হামাসের শতাধিক রকেট হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে এক ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।

গাজা উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের কথা রয়েছে। আর এদিন ভোরেই সেখানে নতুন করে তাণ্ডব চালায় দখলদার বাহিনী। সূত্র: আল জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর।