ওয়াশিংটন শর্ত মানলেই কাবুল বিমানবন্দর চালাবে তুরস্ক

চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র শর্ত পূরণ করলে আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুরু করতে পারে তুরস্ক। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ওয়াশিংটনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

আগামী মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিদেশি বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর তুরস্ককে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আঙ্কারাও এ দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত ৯ জুলাই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান, তার দেশের সেনারা কীভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে তার সব দিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগান ভূখণ্ডের পরিস্থিতি যখন প্রতিনিয়ত অবনতির দিকে যাচ্ছে তখনই কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রসঙ্গে আবারও কথা বললেন এরদোয়ান। মঙ্গলবার নর্দান সাইপ্রাসে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট, বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানব্ন্দর চালু রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আঙ্কারাকে আর্থিক, কূটনৈতিক এবং লজিস্টিক সহায়তা পূরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এরদোয়ান আরও বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্বের বিষয়ে আমি আশাবাদী। কিন্তু আমরা চাই আমেরিকা কিছু শর্ত পূরণ করুক। এ বিষয়গুলো তারা মানলে আঙ্কারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার পরিকল্পনায় কাজ শুরু করবে’।

এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালেবান চাইলে তাদের সংকট নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোষ্ঠীটির যে বৈঠক অব্যাহত রয়েছে তা থেকে ভালো ফলাফল আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।