পানির দাবিতে রণক্ষেত্র ইরান

ইরানে তীব্র পানি সংকটের কারণে টানা ছয়দিন ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনকারীরা। সাধারণ মানুষের আন্দোলন এখন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিকে মোড় নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চলমান আন্দোলন এখন আর শান্তিপূর্ণ নয়। সরকার পানি সংকট সমাধানে এখন পর্যন্ত কোনও আশ্বাস দিতে না পাড়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শহরে। আন্দোলন থামাতে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছে পুলিশ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যাম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার খুজিস্তান প্রদেশে এক আন্দোলনকারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় ইজেহ কাউন্টির গভর্নর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক হোসেইন নবোভতি জানান, 'মঙ্গলবার আন্দোলন চলাকালে গাড়িচাপায় আহত অবস্থায় মারা যান ওই যুবক। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের প্রস্তুতি চলছে’।  

চলমান বিক্ষোভে এ নিয়ে তিন আন্দোলনকারী নিহতের ঘটনা অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে ১৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এর আগে সরকারের অন্য একটি পক্ষ জানায়, দুই বেসামরিক নাগরিক ঘাসেম খোজেইরি (১৮) ও মোস্তফা (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। রক্তক্ষয়ী সংঘাতে আরও মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও নিহত কিংবা আটকের ঘটনা প্রকাশ করছে না সরকার।

সরকারবিরোধী আন্দোলন থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি ছুড়েছে। এতে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘাত হয় বিক্ষুব্ধদের। কোথাও কোথাও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে ইরানিরা। অনেকে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্লোগান দেয়। কয়েকটি খবরে এসেছে, ইরানের রাস্তায় সামরিক বাহিনী ট্যাংক নিয়ে অবস্থান করছে। যদিও এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অনাবৃষ্টি, খরার কারণে অনেক দিন ধরেই তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে ইরানে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি। গরমের কারণে দেখা দিচ্ছে বিদ্যুৎ সংকটও।