কারাবন্দি সৌদি মানবাধিকারকর্মীর স্ত্রী গ্রেফতার

কারাবন্দি সৌদি আরবের মানবাধিকারকর্মী ওয়ালিদ আবু আল খায়েরের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৪ বছর বয়স্ক সামার বাদাউইকে টুইটারে স্বামীর মুক্তি চাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। বিবিসির এক খবরে এ কথা জানা গেছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার জেদ্দায় গ্রেফতার করা হয় সামার বাদাউইকে। এরপর দুই বছরের মেয়েসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার তাকে প্রসিকিউটরের সামনে হাজির করার কথা। 

তবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

সামার বাদাউইয়ের গ্রেফতারকে 'মানবাধিকার অবমাননা ও সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করার কাজে সৌদি আরবের দাম্ভিক আচরণের নতুন নজির' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অ্যামনেস্টি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের সব ধরনের লক্ষণ এই ঘটনায় ফুটে উঠেছে। 

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় অ্যামনেস্টির প্রকল্প পরিচালক ফিলিপ লুথার সামার বাদাউইকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সৌদি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সামার বাদাউই সৌদি ব্লগার রাইফ বাদাউইয়ের বোন। ইসলাম অবমাননা ও সৌদি সাম্রাজ্যের প্রভাবশালী ধর্মভিত্তিক শাসকগোষ্ঠীকে অপমান করার অভিযোগে গত বছর অর্ধশত বেত্রাঘাতের দণ্ড ভোগের পর বর্তমানে ১০ বছরের কারাদণ্ডে রয়েছেন রাইফ বাদাউই। আর কর্মক্ষেত্র বিষয়ক নানা অভিযোগসহ রাইফ বাদাউইয়ের হয়ে আইনি লড়াই করার অভিযোগে ১৫ বছরের জেল খাটছেন ওয়ালিদ আবু আল খায়ের। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সৌদি আরবে প্রথম দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি  খায়ের। টুইটারে সবচেয়ে প্রভাবশালী আরব ব্যক্তিত্ব হিসেবে ফোর্বসের শত ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছিল তার নাম।

/এএ/