সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে তুরস্ক

সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তুরস্ক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বুধবার বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধির পর নিজেদের সুরক্ষায় যা প্রয়োজনীয় তাই করবে তুরস্ক।

প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ওয়াইপিজির হামলায় তুরস্কের দুই পুলিশ নিহতের ঘটনাটি ছিল চূড়ান্ত পর্যায়। তিনি বলেন, উত্তর সিরিয়া থেকে আসা যেকোনও হুমকি নস্যাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তুরস্ক।

তুরস্ক জানিয়েছে, উত্তর সিরিয়ার আজাজ অঞ্চলে গত রবিবার এক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুলিশ সদস্যরা নিহত হয়। এই হামলার জন্য ওয়াইপিজিকে দায়ী করে আঙ্কারা। এই গ্রুপটিকে সন্ত্রাসী বলে বিবেচনা করে তুরস্ক। সোমবার ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কারকামিস এলাকার দুটি স্থানে গোলা ছোড়া হয়।

বুধবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, সিরিয়া সীমান্ত থেকে ওয়াইপিজি প্রত্যাহার করে নিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক হামলায় রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র, উভয়ের দায় রয়েছে। কেননা, তারা প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তারা যেহেতু প্রতিশ্রুতি রাখেনি সেহেতু আমরা আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে যা দরকার তা-ই করবো।’

মিত্র বিদ্রোহী গ্রুপের সহায়তায় সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে তুরস্ক। এসব এলাকায় ইসলামিক স্টেট এবং ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে তিনবার বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে আঙ্কারা। ওয়াইপিজিকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষুব্ধ তুরস্ক।

২০১৯ সালে মস্কো ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে এক চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান স্থগিত করে। ওই চুক্তিতে তুর্কি সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ওয়াইপিজি থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে এই চুক্তি বারবার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।