ইয়েমেনে ৯৫ বিদ্রোহীকে হত্যার দাবি সৌদি জোটের

ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট জানিয়েছে বৃহস্পতিবার মারিব শহরের কাছে এক বিমান হামলায় ৯৫ হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর থেকে নিয়মিত ওই শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে জোটটি। এতে সবমিলে প্রায় দুই হাজার ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি জোট।

ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা খুব কমই প্রকাশ করে থাকে। আর সেকারণে হুথি বিদ্রোহীদের হত্যার ব্যাপারে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি ফরাসি বার্তা সংস্থাএএফপি।

সৌদি জোটের বিবৃতিতে বলা হয় মারিবের কাছে দুইটি জেলায় মোট ২২টি অভিযান চালানো হয়। এতে ৯৫ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত এবং ১১টি সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

অভিযান শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের স্বচ্ছল এই দেশ।