গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, দাবা খেলা ‘জুয়ার অন্তর্ভুক্ত’ ও ‘সময় ও অর্থের অপচয় এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতার কারণ’।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোরানের একটি আয়াত তুলে ধরেন তিনি—যাতে মাদকদ্রব্য, জুয়া, মূর্তিপূজা ও ভবিষ্যৎবাণী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৯৮৮ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনি ইরানে দাবা খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেছিলেন, জুয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া যদি দাবা খেলা হয় তাহলে কোনও ক্ষতি নেই।
ইসলামি চিন্তাবিদরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে বাধা সৃষ্টি করে বলে দাবা খেলার বিপক্ষে। এছাড়া জুয়া ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির এ ফতোয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার নিজেল শর্ট বিবিসিকে বলেছেন, দাবা খেলাকে নিষিদ্ধ করা হবে একটি ‘বড় ট্র্যাজেডি’। তিনি বলেন, ‘দাবা খেলা সমাজের জন্য হুমকি বলে আমি মনে করি না। এমনকি আয়াতুল্লাহ খোমেনিও তা বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে তিনি দাবা খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।’
তবে নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে দেওয়া সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির এ ফতোয়া আনুষ্ঠানিক আদেশ নয় বরং পরামর্শমূলক নির্দেশনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
/এএ/টিএন/