কাতারি আমিরের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে দোহার সঙ্গে আলোচনায় ইরান

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে দোহার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে ইরান। তেহরানে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের একটি রিডআউট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এতে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুদ্ধারের জন্য ভিয়েনায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তারা বলছে, বৈঠকে মূলত ইয়েমেন ও আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্বীকার করা না হলেও কাতারি মন্ত্রীর এই সফরের পূর্বাপর পর্যালোচনা ইঙ্গিত করছে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে বার্তা আদান প্রদান বা মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দোহা।

ইরান সফরে যাওয়ার আগের দিন মঙ্গলবার ফোনে দেশটির শীর্ষ কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই ফোনালাপে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তাদের। তবে এর একদিন আগেই নিজের মার্কিন সমকক্ষ অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা বলেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আগামী ৩১ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠকের কথা রয়েছে। মূলত ইউক্রেনের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইউরোপের জ্বালানি উদ্বেগ প্রশমনে কাতারি আমিরের সঙ্গে এই বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার উত্তেজনার ফলে ইউরোপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মস্কো শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে এর পরিণতিতে যেন ইউরোপ যেন এই গ্যাসের সংকটে না পড়ে সেজন্য এরইমধ্যে কাতারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবেই সোমবার কাতারি নেতার সঙ্গে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

কাতার বিশ্বে এলএনজি-র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি। ইউক্রেনে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া আগ্রাসন চালালে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভর করছে তাদের একটি কাতার। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, দুই নেতার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা, বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের স্থিতিশীলতা এবং আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।