সৌদি আরবের তীব্র সমালোচনায় ইরান

সৌদি আরবে ‘গণহারে’ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কঠোর সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটি বলছে, রিয়াদের এই পদক্ষেপ ‘মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতির’ লঙ্ঘন। রবিবার এক বিবৃতিতে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

শনিবার  খুন, ধর্ষণ, অস্ত্র চোরাচালান ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির আধুনিক ইতিহাসে এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড। এটি ১৯৮০ সালের ঘটনাকেও ছাপিয়ে গেছে। ওই সময় মক্কার মসজিদুল হারাম ‘দখলে’ অভিযুক্ত ৬৩ জনকে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

শনিবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই সৌদি নাগরিক। তাদের মধ্যে আল কায়েদা, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এবং ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থনকারীরাও রয়েছেন। দণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকেরও বেশি শিয়া মুসলিম বলে জানা গেছে।

শনিবারের ঘটনার একদিনের মাথায় রবিবার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ জানান, সন্ত্রাসবাদ ও বড় ধরনের অপরাধের অভিযোগে যেসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, সেখানে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

খতিবজাদেহ বলেন, মৃত্যুদণ্ড ও সহিংসতা ‘তাদের (সৌদি সরকারের) নিজেদের তৈরি করা সংকটের সমাধান নয়।’ তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ও বিচারিক অস্থিরতা ঢেকে রাখা’ এবং নিজ দেশের জনগণের প্রতি দমনপীড়নের অভিযোগ করেন।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় সৌদি আরবে ‘গণহারে’ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সমালোচনা করে দেশটি।