জার্মানির ডার স্পেইজেল সাময়িকির অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টও এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে,যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এ অপারেশনের কোডনেম ছিল ‘অ্যানার্কিস্ট’। সাইপ্রাস থেকে পরিচালিত এ অপারেশনের মাধ্যমে মিশর ও তুরস্কের ড্রোন বিমানেও গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয়। প্রকাশিত খবর অনুসারে, নজরদারির মাধ্যমে দেশদুটি ইসরায়েলের ড্রোন ও বিমান থেকে নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো তথ্য জানতে পারত। এ হ্যাকের মাধ্যমে ইসরায়েলের ড্রোন ও বিমান যখন জঙ্গি নিশানায় হামলা করত তখন দেশ দুটির গোয়েন্দা সংস্থা ককপিটে ভার্চুয়ালি বসতে পারত। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়,২০০৮ সালে এনএসএ’র একটি অভ্যন্তরীণ প্রকাশনায় বলা হয়,অ্যানার্কিস্ট অপারেশনের মাধ্যমে ইসরায়েলি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের রেকর্ড করা ভিডিও সফলভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
সামরিক অস্ত্রসহ ড্রোন বিমান থাকার কথা ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটাই করেনি। তবে দেশটির গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ইয়ুভাল স্টেইনিটজ জানান,এতে তারা আশ্চর্য হচ্ছেন না। কারণ তাদের জানা আছে ইসরায়েল ও বন্ধুরাষ্ট্র সহ বিশ্বের সবগুলো রাষ্ট্রে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে ইসরায়েলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, প্রকাশ্যে তারা গোয়েন্দা বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন না। সূত্র:টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এএ/বিএ/