তেহরানে খামেনির সঙ্গে সিরীয় প্রেসিডেন্টের বৈঠক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রবিবার আঞ্চলিক ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান সফর করেছেন। সফরকালে তিনি তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় উভয় নেতা তেহরান ও দামেস্কর মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর তেহরানে আসাদের এটি দ্বিতীয় সফর। বৈঠকে তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বৈঠকে আসাদকে বলেছেন, যুদ্ধের আগে যা ছিল এখন সিরিয়া তা নেই। যদিও তখন কোনও ধ্বংসযজ্ঞ ছিল না। কিন্তু এখন সিরিয়া সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে বেশি। সবাই দেশটিকে এখন একটি শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের গতিপথ নিজের পক্ষে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন আসাদ। যে গৃহযুদ্ধ ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার এই সফলতার পেছনে ইরানের প্রক্সি মিলিশিয়া ও রাশিয়ার বড় ধরনের সামরিক সহযোগিতার ভূমিকা ছিল। ২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া।

আসাদ বলেছেন, ইরান ও সিরিয়ার কৌশলগত সম্পর্ক এই অঞ্চলে জায়নবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) প্রভাব ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

স্বীকৃতি না দেওয়া সিরিয়ায় ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় গত এক দশক ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ারা আসাদের পক্ষে লড়াই করছে।