ইরাকে ‘নোজ-ব্লিড’ জ্বরের প্রাদুর্ভাব

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে ‘নোজ-ব্লিড’ জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই জ্বরের ফলে নাক থেকে রক্তক্ষরণে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক কিট পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক (সিসিএইচএফ) ভাইরাসবাহিত এই রোগ পশু থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে বা জবাইকালে সেটির রক্ত কিংবা টিস্যুর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি এতে সংক্রমিত হতে পারেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কৃষক, কসাইখানার কর্মী এবং পশু চিকিৎসকদের মধ্যে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, এ বছর ইরাকে ১১১ জনের এই রোগ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, বীর্য, অঙ্গ বা অন্যান্য শারীরিক তরলের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

হামিদ মোহসেন নামের একজন কসাই বলেন, ‘আমি দিনে ১৫-১৬টি পশু জবাই করতাম। এখন এই সংখ্যা সাত থেকে আটটির মতো।’

নাজাফ ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ফারেস মনসুর জানিয়েছেন, সেখানে জবাইয়ের জন্য আসা গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘লোকজন রেড মিটকে ভয় পাচ্ছে। তারা মনে করছে, এটি সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’