তিউনিসিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজপথে বিক্ষোভকারীরা

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজপথে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের গণভোটের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিরোধীরা বলছেন, কথিত এই গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান প্রেসিডেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

স্যালভেশন ফ্রন্ট নামের একটি সরকারবিরোধী জোট এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। তাদের ডাকে রবিবার রাজধানী তিউনিসের রাস্তায় নেমে আসে শত শত মানুষ। এ সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।

তিউনিসিয়ার মধ্যপন্থী ইসলামি দল এন্নাহদাও এই জোটের সদস্য। গত মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া আগ পর্যন্ত এই এন্নাহদা ছিল পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।

প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা বলছেন, তিনি অভিজাত শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন যাদের দুর্নীতি তিউনিসিয়াকে এক দশকের রাজনৈতিক পক্ষাঘাত এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। শনিবার সংবিধান কমিটির প্রধান বলেছেন, ২৫ জুলাইয়ের গণভোটের আগে সোমবার তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে গণতান্ত্রিক সংবিধান হিসেবে বর্ণনার উপযোগী নতুন খসড়া হস্তান্তর করবেন।

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, তারা গণভোট বয়কট করবে। কিন্তু সাঈদের বিরোধিতা করলেও রাজনৈতিক দলগুলো সেভাবে ঐক্যবদ্ধ নয়। জোটগত কর্মসূচির বদলে তাদের পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

অ্যাক্টিভিস্ট চাইমা ইসা রয়টার্সকে বলেন, সাঈদকে অবশ্যই চলে যেতে হবে। রাজপথে মানুষ তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিটিটি) ধর্মঘট করেছে। বিচারকরা প্রতিবাদ করছেন।

প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে চাইমা ইসা বলেন, ‘আপনি কী এমন লোকদের শাসন করতে চান যারা আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে?’

এদিকে শনিবার তৃতীয় সপ্তাহের মতো দেশব্যাপী ধর্মঘট পালনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন বিচারকরা। গত ১ জুন ৫৭ জন বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তারা।