যতদিন প্রয়োজন হামলা চলবে: ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

এর আগে শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, গাজায় তাদের সামরিক অভিযান এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ছয় নারী এবং চার শিশুসহ অন্তত ৩১ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ২৬৫ জন। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ৪০০টিরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদ। তবে এসব রকেটের বেশিরভাগই প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে রবিবার (৭ আগস্ট) গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলা ইসলামিক জিহাদের সিনিয়র নেতা খালেদ মনসুরকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর আগে তাকে পাঁচ বার হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তিনি বেঁচে যান। আগের দিন শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের আরেক শীর্ষ কমান্ডার তাইসির জাবারিকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী।

আল জাজিরার প্রতিবেদক ইয়ামনা এলসাইদ জানান, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী যেসব হামলা চালিয়ে আসছে, তার মধ্যে জাবালিয়া এলাকার এই হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘শনিবার সরাসরি বেসামরিক লোকজন এবং তাদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা করেছে ইসরায়েল।’

মিসরের একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছিল, কায়রোর মধ্যস্থতায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তবে এখনও পর্যন্ত সেটি কার্যকর হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ইসলামিক জিহাদ কিংবা ইসরায়েলের তরফেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দুই পক্ষই কায়রোর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।