ইরানে আমিনি হত্যার প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

নিরাপত্তা হেফাজতে মাহশা আমিনি নিহতের প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ইরানের দাঙ্গা পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে এই সংঘর্ষ হয়। টানা ১১তম দিনে এই বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

২২ বছর বয়সী আমিনি ইরানের কুর্দি শহর সাকেজের বাসিন্দা। ইরানের কঠোর পোশাকবিধি বাস্তবায়নে নিয়োজিত নৈতিকতা পুলিশ তাকে ‘অনুপযুক্ত পোশাক’ পরার জন্য তেহরানে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশি হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

আমিনি নিহতের পর ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোর পর ইরানে এটিই বৃহত্তম বিক্ষোভের ঘটনা।

টানা কয়েকদিনের বিক্ষোভের নিহতের সংখ্যা ৭০জন ছাড়িয়ে যাওয়া ও বিক্ষোভকারীদের ওপর কর্তৃপক্ষে দমন-পীড়নের পরও রাজপথে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। টুইটারে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থার অবসানের দাবি তুলছেন। তেহরান, তাবরিজ, কারাজ, কওম, ইয়াজদসহ বেশ কয়েকটি শহরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকটি শহরে ‘দাঙ্গাকারীদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিক্ষোভের ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘নারী, জীবন, মুক্তি’। অনেকে হাতে নিয়ে হিজাব ওড়াচ্ছেন। কেউ কেউ তা পোড়াচ্ছেন।

বিক্ষোভকারীদের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেন, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’।

তেহরানের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, যারা আমার বোনকে হত্যা করেছে আমি তাদের হত্যা করব’।

এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, রাজপথ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।