তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা

ইরানের রাজধানী তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসের গাড়ির পার্কিং-এ অনেক শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে বলে সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে পালিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাহশা আমিনি নিহতের ঘটনায় চলমান বিক্ষোভের অংশ হিসেবে রাস্তায় নামে শরিফ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। রবিবার নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ জন।

রবিবার প্রথমবার শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রাস্তা বেরিয়ে আসে। সোশাল মিডিয়ার একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে। দূর থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটা গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিলেন, তাদের দিকে বন্দুক নিয়ে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা সদ্যরা এগিয়ে আসছে।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা করেছে এবং গুলি করেছে। অন্য একটা খবরে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

এ ঘটায় তেহরানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইরানের কঠোর পোশাকবিধি অমান্য করায় গ্রেফতার করা হয় মাহশা আমিনিকে। গ্রেফতারের পর ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর থেকে দেশটির পোশাকবিধির বিরোধিতা ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ইরানে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে মাহশা আমিনি হত্যা এবং ইরানের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি আন্দোলন শুরু হয়েছে।