ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হ্যাক করলো বিক্ষোভকারীরা

সরাসরি সম্প্রচারের সময় শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হ্যাক করেছে বিক্ষোভকারীরা। হ্যাক হওয়ার পর টেলিভিশনে মুখোশ পরা এক ব্যক্তির ছবি দেখা গেছে। এরপর সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি দেখা যায়, যা আগুনে পুড়ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

এই হ্যাকার গোষ্ঠী নিজেদের ‘আদালত আলি’ বা ‘আলির বিচার’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে।

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর চলমান বিক্ষোভ যখন চতুর্থ সপ্তাহে গড়িয়েছে তখন এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটলো।

শনিবার স্থানীয় সময় ২১ টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১৭ টা ৩০ মিনিটে) হ্যাকিংয়ের ফলে বিঘ্নিত হয় ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সম্প্রচার। এসময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, মাহশা আমিনি এবং চলমান বিক্ষোভে নিহত আরও তিন নারীর ছবি টিভিতে দেখা গেছে।

একটি ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং প্রতিবাদ করুন’। আরেকটি ক্যাপশনে সর্বোচ্চ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, ‘যুবকদের রক্ত তোমার থাবা থেকে ঝরছে’।

তবে হ্যাকারদের সম্প্রচার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এরপর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভের ঘটনা দেশটিতে বিরল। ইরানের সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু আমিনি হত্যার ঘটনায় চলমান বিক্ষোভে দেশটির নাগরিকরা তার বিরুদ্ধে রাজপথে স্লোগান দিচ্ছেন।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সফরের সময় স্লোগান দিচ্ছেন ‘দূর হও’।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের সমর্থনে দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।