গাজায় ত্রাণবহর প্রবেশে উন্মুক্ত হলো রাফাহ ক্রসিং

গাজায় ত্রাণবহর প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। ২০ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করার জন্য মিসর ও গাজার মধ্যকার সীমান্ত ক্রসিং এখন উন্মুক্ত। গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০ ট্রাক ত্রাণসহ একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। শনিবার মিসর থেকে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের এই ত্রাণবহর এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও ২০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রস্তুতে আছে। গাজায় প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে রাখা হয়েছে। এই ট্রাকে প্রায় তিন হাজার টন ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।

এর আগে মিসরীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল কাহেরা নিউজ জানিয়েছিল, শুক্রবার রাফাহ ক্রসিং চালু হবে। কিন্তু পরে কায়রো জানিয়েছে, সড়ক মেরামতের জন্য তাদের আরও সময় প্রয়োজন। গাজায় প্রবেশের একমাত্র রাস্তা হলো রাফাহ ক্রসিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুধবার রাতে বলেছিলেন, শুক্রবার নাগাদ ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রায় ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে। এ বিষয়ে মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সমঝোতা হয়েছে।

তারপরও মিসর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শুক্রবার ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রথম ত্রাণ বহরের গাজায় প্রবেশ শুরু হতে পারে আগামী দিন বা তারও পরে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজাবাসীর খাবার শেষ হয়ে গেছে। দিনে এক বেলাও খাবার পাচ্ছে না। খাবার পানিও ফুরিয়ে গেছে। তীর্থের কাকের মতো তারা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। গাজার হাসপাতালগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামও প্রয়োজন।

আল জাজিরা তার প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েল দুই সপ্তাহ ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিদেরকে রেশনের খাবার খেতে বাধ্য করেছে ইসরায়েল। শুধু তাই না, পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে নোংরা পানি পান করতে বাধ্য করেছে তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, হাসপাতালের জ্বালানি ও ওষুধপত্র শেষ হয়ে গেছে।